হয় মাদক না হয় এলাকা ছাড়ুন!

টেকনাফে মাদক ব্যবসায়ীদের এসপি’র হুঁশিয়ারী!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল :

মেজর সিনহা হত্যা ও রায়ের পর কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক ব্যবসায়ীরা অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোরতাও ছিল অনেক কম।

সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদক কারবারে জড়িত অপরাধিরা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক পাচার।

অবশেষে দীর্ঘদিন পর টেকনাফে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে মিটিংয়ে কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন-মাদকের বিরুদ্ধে কারো কোন তদবির চলবে না। কারো সুপারিশ শোনা হবে না।

এবার নতুন করে আবার অভিযান শুরু করা হবে। মাদকের সঙ্গে জড়িতদের বলতে চাই- ‘হয় মাদক ছাড়ো, না হয় টেকনাফ ছাড়ো। নতুবা আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে কক্সবাজার জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাে: হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে শনিবার (১২ মার্চ) থানা প্রাঙ্গনে ওপেন হাউজ ডে’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদক কারবারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, মাদক ব্যবসা চলমান রাখার জন্য রোহিঙ্গাদের কিছু লোক ক্যাম্পের বাহিরে আশ্রয় দিয়েছে। যার কারণে কারনে মাদক প্রতিরোধ সম্ভব হচ্ছে না। তবে এসব রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক কারবারীদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। আপনাদেরকে সাথে নিয়েই আমরা কাজ করতে চাই। টেকনাফকে মাদক মুক্ত করে ছাড়বো। টেকনাফে কোন মাদক কারবারি স্থান হবে না। তাই হয়তো মাদক ছাড়ুন না হয় এলাকা ছাড়ুন।

ওপেন হাউজ ডে’ আলোচনা সভায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল শাকিল আহমেদ বিপিএম, টেকনাফ পৌর মেয়র হাজি মুহাম্মদ ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাস্টার জাহেদ হোসেন, সহসভাপতি এমএ জহির,

টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি মোহাম্মদ আলম বাহাদুর, হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন, টেকনাফ পৌর কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।